ভিজিট করুন নতুন ও স্হায়ী ব্লগ www.alomoy.com, it.alomoy.com

রিপোর্ট: ৯১ ভাগ নারী যৌন হয়রানির শিকার,অন্যদিকে বোরকার অবমাননা চলছে

জনকণ্ঠের রিপোর্টে জানা যায় দেশে শতকরা ৯১ জন নারী যৌন হয়রানির শিকার। এর মধ্যে মেয়ে ও শিশুর সংখ্যা বেশি। অপমান সহ্য করতে না পেরে অনেকেই বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। ব্র্যাক ও আইন সালিশ কেন্দ্রের সর্বশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। 
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী দেশে ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়। এরমধ্যে ৩৬ শতাংশ মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা হয় তাদের স্কুলের সামনে। আর দেশের প্রায় প্রতিটি মেয়েই কোন না কোনভাবে জীবনের কোন এক সময় যৌন হয়রানির শিকার হয়। ২০১০ সালে শুধু যৌন হয়রানির কারণে ৩২ জন আত্মহত্যা করে। ২০১১ সালে এ সংখ্যাটা ছিল ৩১ জন। আর এ বছরের মে মাস পর্যন্ত যৌন হয়রানির কারণে আত্মহত্যা করেছে ৮ জন। 
ব্র্যাকের একটি গবেষণায় বলা হয়, উত্ত্যক্তকরণ এবং যৌন হয়রানির কারণে উচ্চ শিক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের কোমলমতি মেয়েরা। অপমান সহ্য করতে না পেরে অনেকেই বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। পুরুষতান্ত্রিত মানসিকতা, সমাজে ও পরিবারে নারীদের অবমূল্যায়ন, নীতি নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়, কর্মহীন অলস মন, পারিবারিক শিক্ষার অভাব, আইনী দুর্বলতা (মাত্র ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ-) সঙ্গে আইন প্রয়োগে অনীহা এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছাড়া দোষী সাব্যস্ত করতে না পারা, টিজিং-এর সঙ্গে যুক্তদের রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক সমর্থন এবং পৃষ্ঠপোষকতাকে যৌন হয়রানির অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়। যৌন হয়রানি বন্ধে শিক্ষার্থী, কিশোর- কিশোরী নিজে, অভিভাবক, শিক্ষক, সহপাঠী, বন্ধু, প্রতিবেশী, স্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নেতা, কমিশনার মেম্বার, চেয়ারম্যান, প্রশাসন ও পুলিশসহ সর্বস্তরে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্যোগ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ রাখা হয়।"" 

তারা তাদের প্রতিবেদনে অনেক সুপারিশ দিলেও আসল সমাধান হিজাব প্রচলনের সুপারিশ রাখেনি। বস্তুত মেয়েদের হিজাব পালন ও ছেলেদের কুরআনের নির্দেশ (তথা নারীদের দেখেলে খারাপ চিন্তাতো দূরের কথা দৃষ্টি নিচু রাখা) মেনে চলতে উদ্ধুদ্ধ করা ও কুরআনী আইন বাস্তবায়নই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।

0 টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন