ভিজিট করুন নতুন ও স্হায়ী ব্লগ www.alomoy.com, it.alomoy.com

আল্লাহর অনুপম সৃষ্টি ভারসাম্য- প্রসঙ্গ: শব্দের গতিবেগ

আমরা জানি বাতাসে শব্দের গতিবেগ সেকেন্ডে প্রায় ৩৪০ মিটার। কিন্তু
আমরা একটু গভীর চিন্তাভাবনা করলে দেখতে পাব এই নির্দিষ্ট গতিবেগটি কত
ভারসাম্যপূর্ণ!
ধরা যাক, শব্দের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩৪০ মিটার না হয়ে ৩৪০ মিলিমিটার,
যা মানুষের হাঁটার বেগের চেয়েও কম। এ অবস্থায় যদি দুজন লোক ঘরে বসে
কথাবার্তা বলে তবে তেমন সমস্যা হবেনা। কিন্তু যদি পায়চারী করতে করতে কথা
বলা হয় তাহলে বেগ কম হবার কারণে শব্দগুলো পরস্পরের সাথে মিলেমিশে একাকার
হয়ে জগাখিচুড়ি হয়ে যাবে। ফলে কোন কথাই স্পষ্টরূপে বোধগম্য হবেনা।
আরো মজার ব্যাপার ঘটবে যখন বক্তা অপরজনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকবেন। এ
অবস্থায় বক্তার প্রথমে বলা শব্দগুলো শ্রোতার কানে পৌঁছুবে সবশেষে। কারণ
কথকের বেগ শব্দের বেগের চেয়ে বেশি। ফলে এক মুহূর্ত আগে বলা কথাটা
শ্রোতার নিকট থেকে তার চেয়ে বেশি দূরতে থাকবে।

ফলে ক্রমান্বয়ে শেষে বলা শব্দগুলো শ্রোতা আগে শুনতে থাকবে। ফলে বাক্য গঠন হয়ে যাবে উল্টো।
যেমন যদি বলা হয়, “এক দেশে এক রাজা ছিল” তবে শোনা যাবে, “ছিল রাজা এক দেশে এক”।
পকৃতপক্ষে অবস্থা অরো খারাপ হবে কারণ বাক্যের শুধু শব্দুগুলোই ক্রম
পাল্টাবে কেন? প্রতিটি ধ্বনিই ক্রম পাল্টাবে। ফলে কোনভাবেই বক্তব্য বুঝে
আসবেনা। একইভাবে শব্দের বেগ যদি অনেক বেশি হত তাহলেও অনেক জটিলতায় পড়তে
হতো।
জড়বাদীরা যেমনটা দাবী করে এ বিশ্বপ্রকৃতি আপনাআপনি অস্তিত্বে এসেছে,
সেক্ষেত্রে এরকম মহাবিশ্বের হাজারো ভারসাম্য কীভাবে আপনাআপনি তৈরি হলো?
তাপগতিবিদ্যা (thermodynamics) থেকে আমরা জানি কোন ব্যাবস্থা (system)কে হস্তক্ষেপবিহীন অবস্থায় রেখে দিলে সেখান থেকে গঠনমূলক বা ভারসাম্যপূর্ণ কিছু তৈরি হওয়া অসম্ভব।
এই মহাবিশ্বে এমন অসংখ্য সুশৃংখ্যলতা ও ভারসাম্যপূর্ণতার নিদর্শন আছে যা
থেকে এটা ধারণা করাও অসম্ভব ও অবজ্ঞৈানিক যে এই মহাকাঠামো (superstucture) নিজে থেকেই অস্তিত্বে এসেছে।
কুরআনে তাই আল্লাহ ঘোষণা করছেন-
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَآيَاتٍ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ
”আসমান ও জমিনের সৃষ্টি ও দিন-রাতের ক্রমাবর্তনের মধ্যে বুদ্ধিমানদের
জন্যে অবশ্যই অনেক নিদর্শন রয়েছে”
(সুরা আলে ইমরান, ৩:১৯০

0 টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন