কয়েকদিন আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম প্রোগ্রামিং এর ধারণা আল্লাহর অস্তিত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছে। সেখানে আমি মূলত বোঝাতে চেয়েছি বিভিন্ন প্রাকৃতিক সূত্র এককথায় মহাবিশ্বের যত সৃষ্টি এগুলো সবই স্রষ্টার সাক্ষ্য বহন করে। অর্থ্যাৎ একজন বুদ্ধিমান লোক যদি খোলামন নিয়ে এগুলো পর্যবেক্ষণ করে তবে সে স্রষ্টার অস্তিত্ব উপলদ্ধি করবে। একজন মন্তব্য করলেন-
প্রথমেই উনি বললেন জ্ঞান বিজ্ঞান ইহুদী নাসারাদের সম্পদ। অথচ আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা করেছে ইসলামই। যখন ইউরোপের পড়তে জানা মানুষকে হাতে গোণা যেত তখনও মুসলিম স্পেনের প্রত্যেক মুসলিমের বাড়িতে ছিল বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লিখিত সমৃদ্ধ লাইব্রেরী। কারণ তখন মুসলিমরা কুরআনরে সকল বিধান মেনে চলত আর তাই মানত তার প্রথম বাণীও অর্থ্যাৎ "পড় তোমার রবের নামে" (৯৬:১)। জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতি অনীহাও অন্যতম কারণ যা মুসলিমদের আজ পেছনে ফেলে রেখেছে।
এরপর বললেন আর এইসব প্রোগ্রাম, কম্পিউটার বিদ্যা হইল ইহুদি নাসারাদের সৃষ্টি। অথচ উনি সেই নাসারাদের কম্পিউটার ব্যাবহার করেই মন্তব্য করেছেন। এছাড়াও প্রতিদিন উনিসহ সবাই "নাসারাদের অসংখ্য তৈরি জিনিস ব্যাবহার করেন। কথা হচ্ছে কোন জিনিস কার সৃষ্টি সেটা মূখ্য নয়। দেখতে হবে সেটার ব্যাবহার শরীয়াত অনুমোদন করে কিনা। এজন্যেই অমুসলিমদের তৈরি বিমানও আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন কিন্তু কোন মুসলিমও যদি সিনেমা হল বানায় (আল্লাহ মাফ করুন) আপনি কি সিনেমা দেখবেন?
এরপর বললেন সহীহ ইল্মের তা'লিমের পেছনে ওয়াক্ত গুজার করিবার জন্য সকল কে আহবান জানাই, কারণ ইনসানী হায়াত খুবই সীমিত, এই সময়ের মধ্যে একজন মানুষের পক্ষে তামাম ফিকহ শাস্ত্রের তা'লিম লইবারই সুযোগ ঘটেনা, আর প্রোগ্রামিং এর তা'লিম লইবার ওয়াক্ত কই বলুন?
ইলম মানেই ধর্মীয় জীবন যাপনের জন্যে নিছক কিছু সুরা ক্বেরাত ও দোয়া কালাম নয়। একজন মুসলিম যে যেই পেশায় নিয়োজিত আছেন বা যে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে পড়াশোনা করেছেন তাকে সেই জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে ইসলাম প্রচারের জন্যে, নিছক ইনকাম করবার জন্যে নয়। ফিকই শাস্ত্রের তালিম লওয়ার ব্যাপারে বলি- এটা সকল মুসলমানের জন্যে ফরজ নয় যে সবাই একজন করে মুফতি হয়ে যাবেন। হ্যাঁ, প্রত্যেককেই মুসলিম হিসেবে জীবন যাপন করার জন্যে যতটুকুক প্রয়োজন তাতো জানতে হবেই। যেমন যার হজ্ব করা ফরজ তিনি হজ্বের নিয়মাবলী জানতে হবে। কিন্তু যাপর উপর হজ্ব ফরজ নয় তার জন্যে হজ্বের নিয়ম জানা ফরজ নয়। একইভাবে অবিবাহিতের জন্যে ,দম্পিত্যবিষয়ক, তালাকের নিয়ম জানা জরুরী নয়।
তাই ন্যূনতম জ্ঞান অর্জনের পরে চাইলে কেউ ফকীহও হতে পারেন কিন্তু তার জন্য দাওয়াত দেওয়া ফরজ সেটা যদি মিস হয় মুফতি হলেও আল্লাহ মাফ করবেনা। এজন্যেই প্রত্যেক মুসলিমকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দাওয়াতী কাজ করার জন্যে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের জ্ঞান শিখা এবং তা প্রয়োগ করে আল্লাহর দিকে ডাকা কোন বেহুদা কাজ নয়।
এরপরে বলেন জীবন তো অতি সামান্য। হ্যাঁ অবশ্যই। তার মানে কি এই যে পৃথিবীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করতে হবে? বরং আল্লাহর দেওয়া প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালন করতে হবে। জীবনের সকল পর্যায়ে ইসলামকে প্রতিষ্টিত করার দায়িত্ব এ স্বল্প জীবনে যতদিন বেঁচে থাকি করে যেতে হবে।
রাসুল সাঃকে যখন নবুওয়্যাত দেওয়া হলো তখন তিনি তো সাথে আরো কয়জন নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি যথার্থই প্রতিনিধি হলেন। যখন তাঁকে লোভ দেখিয়ে থামতে বলা হলো তিনি বললেন হয় আমি এ কাজে বিজয়ী হবো নয়তো এ কাজ করতে্ করতেই নিজকে শেষ করে দেবো।
পরিশেষে বলি আল্লাহ নিজেই কুরআনে বিভিন্ন বিভাগের জ্ঞানীদেরকে বুঝানোর জন্যে বিজ্ঞানের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। যেমন (সুরা হাজ্জ,২২:৫)
"হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ-) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে।"
এছাড়াও (সুরা আলে ইমরান, ৩:১৯০)
নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।
{কেউ দ্বিমত করতে চাইলে নিজস্ব মতের ভিত্তিতে করলে চলবেনা। কুরআন হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে হতে হবে}
প্রথমেই উনি বললেন জ্ঞান বিজ্ঞান ইহুদী নাসারাদের সম্পদ। অথচ আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা করেছে ইসলামই। যখন ইউরোপের পড়তে জানা মানুষকে হাতে গোণা যেত তখনও মুসলিম স্পেনের প্রত্যেক মুসলিমের বাড়িতে ছিল বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লিখিত সমৃদ্ধ লাইব্রেরী। কারণ তখন মুসলিমরা কুরআনরে সকল বিধান মেনে চলত আর তাই মানত তার প্রথম বাণীও অর্থ্যাৎ "পড় তোমার রবের নামে" (৯৬:১)। জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতি অনীহাও অন্যতম কারণ যা মুসলিমদের আজ পেছনে ফেলে রেখেছে।
এরপর বললেন আর এইসব প্রোগ্রাম, কম্পিউটার বিদ্যা হইল ইহুদি নাসারাদের সৃষ্টি। অথচ উনি সেই নাসারাদের কম্পিউটার ব্যাবহার করেই মন্তব্য করেছেন। এছাড়াও প্রতিদিন উনিসহ সবাই "নাসারাদের অসংখ্য তৈরি জিনিস ব্যাবহার করেন। কথা হচ্ছে কোন জিনিস কার সৃষ্টি সেটা মূখ্য নয়। দেখতে হবে সেটার ব্যাবহার শরীয়াত অনুমোদন করে কিনা। এজন্যেই অমুসলিমদের তৈরি বিমানও আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন কিন্তু কোন মুসলিমও যদি সিনেমা হল বানায় (আল্লাহ মাফ করুন) আপনি কি সিনেমা দেখবেন?
এরপর বললেন সহীহ ইল্মের তা'লিমের পেছনে ওয়াক্ত গুজার করিবার জন্য সকল কে আহবান জানাই, কারণ ইনসানী হায়াত খুবই সীমিত, এই সময়ের মধ্যে একজন মানুষের পক্ষে তামাম ফিকহ শাস্ত্রের তা'লিম লইবারই সুযোগ ঘটেনা, আর প্রোগ্রামিং এর তা'লিম লইবার ওয়াক্ত কই বলুন?
ইলম মানেই ধর্মীয় জীবন যাপনের জন্যে নিছক কিছু সুরা ক্বেরাত ও দোয়া কালাম নয়। একজন মুসলিম যে যেই পেশায় নিয়োজিত আছেন বা যে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে পড়াশোনা করেছেন তাকে সেই জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে ইসলাম প্রচারের জন্যে, নিছক ইনকাম করবার জন্যে নয়। ফিকই শাস্ত্রের তালিম লওয়ার ব্যাপারে বলি- এটা সকল মুসলমানের জন্যে ফরজ নয় যে সবাই একজন করে মুফতি হয়ে যাবেন। হ্যাঁ, প্রত্যেককেই মুসলিম হিসেবে জীবন যাপন করার জন্যে যতটুকুক প্রয়োজন তাতো জানতে হবেই। যেমন যার হজ্ব করা ফরজ তিনি হজ্বের নিয়মাবলী জানতে হবে। কিন্তু যাপর উপর হজ্ব ফরজ নয় তার জন্যে হজ্বের নিয়ম জানা ফরজ নয়। একইভাবে অবিবাহিতের জন্যে ,দম্পিত্যবিষয়ক, তালাকের নিয়ম জানা জরুরী নয়।
তাই ন্যূনতম জ্ঞান অর্জনের পরে চাইলে কেউ ফকীহও হতে পারেন কিন্তু তার জন্য দাওয়াত দেওয়া ফরজ সেটা যদি মিস হয় মুফতি হলেও আল্লাহ মাফ করবেনা। এজন্যেই প্রত্যেক মুসলিমকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দাওয়াতী কাজ করার জন্যে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের জ্ঞান শিখা এবং তা প্রয়োগ করে আল্লাহর দিকে ডাকা কোন বেহুদা কাজ নয়।
এরপরে বলেন জীবন তো অতি সামান্য। হ্যাঁ অবশ্যই। তার মানে কি এই যে পৃথিবীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করতে হবে? বরং আল্লাহর দেওয়া প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালন করতে হবে। জীবনের সকল পর্যায়ে ইসলামকে প্রতিষ্টিত করার দায়িত্ব এ স্বল্প জীবনে যতদিন বেঁচে থাকি করে যেতে হবে।
রাসুল সাঃকে যখন নবুওয়্যাত দেওয়া হলো তখন তিনি তো সাথে আরো কয়জন নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি যথার্থই প্রতিনিধি হলেন। যখন তাঁকে লোভ দেখিয়ে থামতে বলা হলো তিনি বললেন হয় আমি এ কাজে বিজয়ী হবো নয়তো এ কাজ করতে্ করতেই নিজকে শেষ করে দেবো।
পরিশেষে বলি আল্লাহ নিজেই কুরআনে বিভিন্ন বিভাগের জ্ঞানীদেরকে বুঝানোর জন্যে বিজ্ঞানের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। যেমন (সুরা হাজ্জ,২২:৫)
"হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ-) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে।"
এছাড়াও (সুরা আলে ইমরান, ৩:১৯০)
নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।
{কেউ দ্বিমত করতে চাইলে নিজস্ব মতের ভিত্তিতে করলে চলবেনা। কুরআন হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে হতে হবে}
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন