ভিজিট করুন নতুন ও স্হায়ী ব্লগ www.alomoy.com, it.alomoy.com

পৃথিবীর কিছু রহস্যময় ও অভিনব স্থান

পোস্টটি আগে এসবিতে দিয়েছিলাম।
১. পেরুর মাচুপিচু: 


ইনকা সাম্রাজ্যের সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর মাচুপিচু পেরুর কাচকো অঞ্চলে অবস্থিত সমুদ্র স্তরের ২৪৩০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত পাহাড়ঘেরা একটি স্হাপত্য। ১৪০০ সালে ইনকারা এটার নির্মাণকাজ শুরু করে। পরে অবশ্য স্পেনীয়দের আবির্ভাবের সময় শুধু শাসকদের জন্য ছেড়ে দেয়। স্থানীয়ভাবে পরিচিত থাকলেও বর্হিবিশ্বের সাথে এর প্রথম পরিচয় ঘটান ১৯১১ সালে আমেরিকান ঐতিহাসিক হিরাম বিংহ্যাম। ২০০৭ এ New Seven Wonders of the World-এ এটাও অর্ন্তভূক্ত ছিল। 



২. নাজকা লাইন: 


জিওগ্লিপস হল ভূমিতে (বা পাথরে বা বালুময় স্থানে) খোদাইকৃত কতগুলো নকশা। আর এগুলোর মধ্যে যেগুলো প্রাচীন সেগুলোই হল নাজকা লাইন।এগুলো কোন সাধারণ আকিঁবুকি নয়। এগুলোতে তৈরি হয় কোন গঠনমূলক প্রতিকৃতি যেমন কোন পাখি বা পোকা ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এগুলোর আকার এত বিশাল যে ভুমিতে দাঁড়িয়ে এগুলোকে বোঝা যাবেনা। উঠতে হবে অনেক উপরে। তবেই স্পষ্ট হয়ে বোঝা যাবে। বর্তমানে প্রযুক্তর ছোঁয়ায় এরকম জিওগ্লিপস আঁকা সহজ কাজ। 


কিন্তু রহস্য হল খ্রিষ্টের জন্মের কয়েক শতাব্দী আগে (গবেষকদের মতে এগুলোর নির্মাণকাল এটাই) সে যুগের মানুষ কীভাবে এগুলো এঁকেছিল? আর কীভাবেই বা নিশ্চিত হল ঠিকভাবে আঁকা হল কিনা। কেউ বলতে পারেন উঁচু টাওয়ার বা বেলুন দিয়ে দেখেছিল। কিন্তু প্রাসঙ্গিক সময়গত কারণে এ যুক্তি টেকেনা। 
তাই কেউ বলেন এগুলো ভিনগ্রহের লোকেরা এসে এঁকে দিয়েছিল!! 

৩. স্টোনহেন্জ: 


এটি প্রধানত ৩০ টি খাড়া পাথরের স্তম্ভ দিয়ে গঠিত ইংল্যান্ডের ওয়াইল্টশায়ার কাউন্টিতে অবস্থিত সৌধ। প্রতিটি স্তম্ভ লম্বায় ১০ ফুটের উপরে এবং ওজনে ৪৫ টনের বেশি। স্তম্ভগুলো বৃত্তাতাকারভাবে সজ্জিত যার ভেতরে আছে আরেকটি ছোট বৃত্ত। ।প্রত্নতাত্বিকগণ খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ থেকে ৩০০০ এর মধ্যে এটার নির্মাণকাল ধরেণ। সেসময় ধাতব ব্যাবহারও শুরু হয়নি। 
কিন্তু অনেক অনুমান থাকলেও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা এগুলো কারা কেন কীভাবে নির্মাণ করেছিল। এত বড় ও বিশাল ওজনের পাথর-স্তম্ভগুলো কীভাবে খাড়া করা হয়েছিল যে কৌশল মানুষ মাত্র কিছুদিন হল শিখল তা দারুণ এক রহস্য। 



৪. মিশরের পিরামিড: 


২০০৮ পর্যন্ত সংখ্যায় ১৩৮ এ পৌঁছা মিশরে বিশেষত প্রাচীন ফারাওদের সমাধী হিসেব নির্মিত স্হাপত্য এগুলো। এগুলোর মধ্যে কায়রোর প্রান্তসীমায় গিজায় অবস্হিত পিরামিডগুলো সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। এগুলোর নির্মাণশৈলী দেখে সবচেয়ে সন্দেহবাদী লোকটিকেও মন্ত্রমুগ্ধ হতে হয়। সে যুগের লোকেরা কীভাবে এত নিঁখুত ও আকর্ষণীয় করে এগুলো প্রস্তুত করল তা আজো রহস্য। 



৫. কোস্টারিকার বর্তুলাকার প্রস্তর


কোস্টারিকার এ বর্তুলাকার প্রস্তরগুলো প্রত্নতত্বের এক অনন্য রহস্যময় দৃষ্টান্ত। ১৯৩০ সালে প্রথম এগুলো আবিষ্কৃত হয়। এগুলোর ব্যাস কয়েক সে.মি থেকে ২ মিটার পর্যন্ত আর ওজন ১৬ টনের ওপরেও আছে। খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ সালের দিকে প্রথম এগুলোর নির্মাণ বলে ধরা হয়। 
কারো কারো মতে এগুলো সম্পূর্ণ নিঁখুত গোলক যদিও এখন আংশিক ক্ষয়ে গেছে। তবে লেজার পরীক্ষায় দেখা গেছে এগুলোর তল (surface) ৯৬ % নিঁখুত। তবে রহস্য হল তখনকার প্রাচীন লোকেরা কী করে প্রায় নিঁখুত এ গোলকগুলো তৈরি করল যাতে উন্নত যান্ত্রিক কেশৈলের প্রয়োজন হয়েছিল? 



যাইহোক মানুষের জ্ঞান বস্তুতই সীমিত। পৃথিবীতে কত স্হানই তো রহস্যময়, কত রহস্যময় ঘটনাই তো ঘটে। সকল ঘটনার স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সার্বিক জ্ঞান অর্জন ও রহস্যভেদ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এ জ্ঞান আছে আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীনের যিনি সমগ্র বিশ্বজগতের সবকিছুর খবর রাখেন-অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ- সকল কালের। 
সূত্র: উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ওয়েবসাইট।

0 টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন