ভিজিট করুন নতুন ও স্হায়ী ব্লগ www.alomoy.com, it.alomoy.com

মরুভূমিতে মরীচিকা সৃষ্টি হবার কারণ

আগে একটা গল্প বলি। এক পিপাসার্ত লোক এক মরুভূমিতে হাঁটছে। একসময় ক্লান্ত হয়ে তার পানির পিপাসা দেখা দিল। এদিক ওদিক চাইতেই অনেকদূরে সামনে দেখা গেল একটি গাছ। গাছের নিচে তার প্রতিচ্ছবিও দেখা যাচ্ছে। লোকটা বেজায় খুশি। সামনে পানি পাওয়া গেল। কারণ নিশ্চয়ই ওখানে কোন পুকুর আছে আর তাতেই গাছটি প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু যথাস্থানে এসে লোকটা পানি পায়না। বাড়ি এসে একে ভৈৗতিক কান্ড বলে ব্যাখ্যা করে।


এটার ব্যাখ্যা অোছে পদার্থবিদ্যায়।
মরীচিকা তৈরি হয় উত্তপ্ত মরুভূমিতে। সূর্যে্র প্রচন্ড তাপে বালি উত্তপ্ত হয়ে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং এর ফলে সংলগ্ন বায়ু হালকা হয়। উপরের দিকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমায় বাযুও ধীরে ধীরে ঘনতর হতে থাকে।   মরুভূমিতে চলন্ত কোন ব্যক্তি দূরে q বিন্দুতে কোন একটি গাছ দেখার সময় আলোকরশ্মি ঘনতর মাধ্যম থেকে লঘুতর মাধ্যমে প্রবেশ করে। ফলে প্রতিসরিত রশ্মি m বিন্দুর অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এভাবে বাঁকতে বাঁকতে একসময় কোন একটি স্তরে আপতন কোণ ক্রান্তি কোণের চেয়ে বড় হয়অ এ সময় আলোকরশ্মির প্রতিসরিণ না হয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়। ফলে আলোকরশ্মি উপরে উঠে বাঁকা পথে পথিকের চোখে পৌঁছায়। ফলে পথিক মনে করে বসেন এ রশ্মি q বিন্দুর সরাসরি নিচের q' বিন্দু থেকে আসছে। 
এভাবে পথিক মনে করে পানির ভূ-সমতলের নিচে যেহেতু গাছের উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে তাই নিশ্চয়ই ওখানে পানিও আছে। 
এছাড়াও বৃষ্টির পরপরই রাজপথ ভিজে গিয়েও সেখানে আকাশের বিম্ব তৈরি হয়। ফলে তৈরি হয় মরীচিকা।


0 টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন