ভিজিট করুন নতুন ও স্হায়ী ব্লগ www.alomoy.com, it.alomoy.com

না দেখে বিশ্বাস করিনা!!!


জ্ঞানী মানুষও চিন্তার সংকীর্ণতার কারণে কীভাবে মূর্খের মতো আচরণ করতে পারে তার একটা উদাহরণ হলো শিরোনামে দেওয়া বক্তব্য। উনারা বলে থাকেন ইসলাম কি আজব আজব কথাবার্তা বলে। কি নাকি বেহেশত, দোজখ, জিন, ফেরেশতা আছে। এসব কি কেউ কখনো দেখেছে? 

গতকাল স্টুডেন্টকে পড়াতে গিয়ে এ চিন্তার অসারতার নতুন একটা দিক খুঁজে পেলাম। যখন বলছিলাম একটা বস্তুকে উপরে ছেড়ে দিলে নিচে নামে কেন। কারণ পৃথিবীর অভিকর্ষ। নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রানুযায়ী প্রত্যেক বস্তুই একে অপরকে নিজ দিকে আকর্ষণ করে। এমনকি দুটো কলম পাশাপাশি রেখে দিলেও এরাও আসলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে। কিন্তু আকর্ষণের পরমিাণ অনুভূত হবার চেয়ে অনেক কম হওয়ায় দেখা যায়না বা বোঝাই যায়না। তাই বলে কি তাদের আকর্ষণ মিথ্যা????!!!!
 
অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যায়। 

একইভাবে 'চোখে দেখিনা' দোহাই দিয়ে কোনভাবেই জান্নাত জাহান্নামকে অস্বীকার করা যায়না। পৃথিবীর অস্তিত্ব যেমন বাস্তব তার চেয়েও বাস্তব পরকাল। পৃথিবীর সকল কাজ-কর্মের প্রতিফল পাবার জন্যে আরেকটা জগত প্রয়োজন যেখানে এখানে না পাওয়া প্রাপ্য সঠিকভাবে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দেওয়া হবে। প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাবে। যারা মহান কাজ সম্পাদন করেও এখানে পুরস্কার পাননি তাদের পুরস্কৃত করা হবে। যারা একাই অসংখ্য মানুষের ক্ষতিসাধন করেছে তাদের থেকে কড়ায় গন্ডায় হিসেব নেওয়া হবে। একমাত্র পরকালের ভয় আর আল্লাহভীতিই মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে পারে। যে মনে সে যে করছে তার হিসেব দিতে হবে আর যে উল্টোটা মনে করছে দুজনের কাজের প্রকৃতি একই হওয়া সম্ভব নয়। প্রথমজন অবশ্যই অন্যের জন্যে ও সমাজের জন্যে ক্ষতিকর কাজ এড়িয়ে যাবে। 

এছাড়া যে আল্লাহ কুরআনে এত সুন্দর গুছিয়ে মানবজীবনের সব বিষয় আলেঅচনা করেছেন, সমাধান দিয়েছেন নির্ভুল অসংখ্য বৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়েছেন তাঁর আর একটি কথা পরকালের ব্যাপারে সেটা বিশ্বাস না করাই অস্বাভাবিক।
 
যে মুহাম্মাদ সা. জীবনে মিথ্যা বলেনি, বানিয়ে কোন কথা বলেননি যার সাক্ষ্য তাঁর ঘোর বিরোধীরাও দিত তিনি পরকালের ব্যাপারে উদ্ভট একটা কথা বলেছেন এটা মেনে নেওয়াও হাস্যকর ও অযৌক্তিক।

0 টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন